রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই তিন জন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল (অব.) পৃথক তিনটি চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানান। বহিষ্কৃতরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-রেজিস্ট্রার মোর্শেদুল আলম রনি ও হিসাব শাখার উপপরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলম।
জানাগেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া ৩৩৮ জন কর্মচারীকে নিয়োগ ও শর্ত পূরণ ছাড়াই পারস্পরিক যোগসাজশে উচ্চতর পদে নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল করিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে এ মামলায় বেরোবির উপ-রেজিষ্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডল, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-রেজিস্ট্রার মোর্শেদুল আলম রনি ও হিসাব শাখার উপপরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলমসহ তত্কালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে আসামি করা হয়।
রংপুরের দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ বিশেষ জজ আদালত রংপুরের নিকট উক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত একই বছরের ২০ জুলাই চার্জশিট আমলে নিয়ে আদালতে হাজির উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডল ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে জেলহাজতে পাঠান। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
রংপুরের বিচারিক আদালতে ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, মোর্শেদুল আলম রনি ও খন্দকার আশরাফুল আলমকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু দুদক ঐ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করলে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ বাতিল করে রুল জারি করে। অভিযুক্ত তিন জনকে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণের আদেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়ে ২০ হাজার টাকা মুচলেকা প্রদান করে তারা আদালত থেকে জামিন নেন। এখন তারা জামিনে আছেন।