জামালপুর সদর উপজেলায় দুলাভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর ওই শিক্ষার্থী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাত একটার দিকে উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের লাহাড়িকান্দা এলাকার নবাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মাহজারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি নবাবপুর গ্রামের আবু তাহের তালুকদারের ছেলে। তিনি ঢাকায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। গ্রেফতার হওয়া ওই শিক্ষার্থী নিহত মাহজারুলের শ্যালক। তার নাম খালিদ হাসান চৌধুরী (২৫)। তিনি একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খালিদ হাসানের বড় বোনের সঙ্গে মাহজারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল ফুফু-ভাতিজার। দুই পরিবারের কেউ তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিন বছর আগে তাঁরা দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিষয়টি খালিদ হাসান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। ঈদে মাহজারুল ইসলাম বাড়িতে আসেন। গতকাল শুক্রবার রাতে একই গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে মাহজারুল অংশ নেন। ওই বিয়েতে খালিদ হাসানও যোগ দেন। রাতে মাহজারুল ইসলাম বিয়ে বাড়ির একটি পুকুর পাড়ে বসে ছিলেন। এ সময় খালিদ হাসান গিয়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে দুলাভাইকে কোপানোর পর রাতেই নরুন্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে খালিদ হাসান আত্মসমর্পণ করেন। তিনি এখন নরুন্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে রয়েছেন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিমুল ইসলাম বলেন, বিয়ের আগে খালিদের বোন ছিলেন নিহত মাহজারুলের ফুফু। তবে আপন ফুফু ছিলেন না। এই দুজনের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি খালিদ। ওই ক্ষোভ থেকেই মাহজারুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মাহজারুলের বড় ভাই সেলিম তালুকদার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।