দেশের কয়েকটি অঞ্চলে আজ রোববার থেকে বয়ে যেতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সামনের বেশ কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আর দিনের ঝকঝকে আকাশে ছড়াবে রোদ ও সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে আগামী এক সপ্তাহে আর বৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই। গতকাল শনিবার আবহাওয়া দপ্তর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ রোববার থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং যশোর-চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল সকালে ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসতে পারে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়বে। মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয় বেশ কিছুদিন ভারতের বিহারের বাইরে অবস্থান করার পর গতকাল থেকে তা আবারো পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি খুবই ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসে। এ কারণে সকালের দিকে বেশ ঠান্ডা পড়তে পারে। তবে দিনেরবেলা তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে পারে।
ড. মল্লিক আরও জানান, চলতি মাস ধরে শীত অনুভূত হবে। মাঝে মাঝে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে আসলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা যায়।