বাংলাদেশি সমাজে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভাগ, জেলা এমনকি উপজেলা শহরে এমন কোনো রাস্তা নেই, যেখানে হাঁটলে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোচিং সেন্টার চোখে পড়ে না। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, এর অর্থ এ নয় যে, দেশে এ দুই খাতে উন্নয়ন হয়েছে। বাস্তব চিত্র হল, এ দুই খাতে ছড়িয়ে পড়েছে নৈরাজ্য। এ খাত দুটিতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য যেন কোনো সরকারি দেখভাল নেই। এ দুই মন্ত্রণালয়ে যারা চাকরি করছেন, তারা মাস গেলে বেতন নিচ্ছেন ঠিকই; তবে এ খাত দুটিতে কোনো শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন বলা যাবে না। শিক্ষা খাতে নিম্নপর্যায় থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত যে বিশৃঙ্খলা ও বাণিজ্য চলছে, তা অতি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনার সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি আর রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ মাননীয় চ্যান্সেলরের এ সমালোচনা অত্যন্ত যৌক্তিক।
দুঃখের বিষয় হল, বাংলাদেশে বড় চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলেন, তা বোধগম্য নয়।। কেন তারা নিজেদের সুবিধার জন্য সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনা শুরু করেছেন? এর প্রধান কারণ হল, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মাঝে বর্ণের আবরণে পরিচালিত দলীয় রাজনীতি। নিজের চেয়ার আর ভোট ঠিক রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা শিক্ষাবান্ধব ন্যায়পরায়ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ শিক্ষকদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। শিক্ষকরা এবং সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলররা এর অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে যুগপৎ রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক আখড়ায় পরিণত করেছেন। কারণ, এরা নিজেরা রাজনীতি করে পদে এসে নিজ বর্ণদলীয় শিক্ষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করতে পারেন না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করার কথা বললেও তিনি অবশ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি বন্ধের কথা বলেননি। সম্মানিত শিক্ষকদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের ওপর বিধি-নিষেধ বা নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কথা বলেননি। তবে তিনি শিক্ষক রাজনীতির নেতিবাচকতার কথা না বললেও ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচকতার প্রতি আলোকপাত করেছেন।
বলেছেন, ডাকসু নেতাদের সম্পর্কে এমন সব কথা শুনি; যা আমার ভালো লাগে না। অন্যত্র তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে জ্ঞান অর্জনের জন্য। লাশ হয়ে বা বহিষ্কৃত হয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় না। রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যের মধ্যে বর্তমান সময়ের ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচকতা সুস্পষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। ভিসি নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি, ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান, কনসালটেন্সি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
কেবল রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রাখা হয়েছে। ছাত্রদের ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক গদি রক্ষার ঘুঁটি হিসেবে। রাজনৈতিক মুনাফা ও সমর্থন বৃদ্ধির জন্য জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। অথচ একবারও ভাবা হচ্ছে না যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মতো লোকবল আছে কিনা। এর ফলে শিক্ষার মান বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী সনদপত্র নিয়ে বের হলেও মানসম্পন্ন লেখাপড়া শিখে বের হতে পারছে না। ফলে আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারের প্রতিযোগিতায় তারা শামিল হওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না। এজন্য দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এসব বেকার না পারছেন ছোট কাজ করতে, না পারছেন সম্মানজনক চাকরি জোগাড় করতে। ফলে অনেকেই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছেন। রাজনীতিকরা যদি রাজনৈতিক কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার না করতেন, যদি তাদের জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিতে পারতেন, তাহলে ‘শিক্ষা’ আর ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি লাভ করত না। এখন ব্যবসায়ীরাও শিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। তারা মুনাফার জন্য বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে তুলছেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এ ব্যবসায়ে কেবল রাজনীতিক বা ব্যবসায়ীরাই জড়িত হচ্ছেন না। এ ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছেন বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোও। ঢাকার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কূটনৈতিক মিশন স্কুল ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে আবার টার্কিশ হোপ স্কুল চট্টগ্রামেও স্কুল ব্যবসা প্রসারিত করেছে। এসব স্কুলে এরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো বেতন নিচ্ছে আর শিক্ষকদেরও ইচ্ছামতো বেতন দিচ্ছে। এদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।
রাজনৈতিক নেতারা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিজ নিজ এলাকায় গড়ে তুলছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইন্টারমিডিয়েট কলেজকে করছেন ডিগ্রি কলেজ। ডিগ্রি কলেজে খুলছেন অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স। অথচ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালোভাবে পাঠদানের জন্য উপযুক্ত শিক্ষক আছেন কিনা, সেদিকে তারা মনোযোগ দিচ্ছেন না। শিক্ষক নিয়োগের সময় অনেক ক্ষেত্রেই মেধাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে জেলা ও উপজেলা শহরে গড়ে উঠছে অনেক স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে পাস করে বের হলেও প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারছেন না। এর ফলে শিক্ষিত ও সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এদের অনেকেই চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। আবার কেউ কেউ বিপথে পরিচালিত হচ্ছেন। সরকার রাজনৈতিক মুনাফার জন্য শিক্ষা নিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করলেও সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল করতে পারেনি। একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন গড়তে পারেনি; তেমনি ব্যর্থ হয়েছে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা। ফলে নানা রকম ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখছেন, যা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় সৃষ্টি করছে।
স্বাস্থ্য খাতের বিশৃঙ্খলা শিক্ষা খাতকেও ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাঙের ছাতার মতো ছোট ছোট শহর ও উপশহরে গড়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল এবং অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব বেসরকারি হাসপাতালে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার নামে যা করা হচ্ছে, তাকে ব্যবসা বলা যায়। সরকার শিক্ষা খাতে মাঝে মধ্যে সংস্কারের ব্যর্থ চেষ্টা করলেও স্বাস্থ্য খাতে কখনও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। ফলে এ খাতে বিরাজমান নৈরাজ্যের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ডাক্তার সাহেবরা যা খুশি তা-ই করতে পারছেন। আর্থিক মুনাফার জন্য রোগীর জীবন নিয়ে খেলতে পারছেন। সব ডাক্তার সাহেবই শহরে থাকতে চান। গ্রামে গিয়ে মানুষের সেবা করার প্রবণতা খুব কম ডাক্তারের মধ্যেই লক্ষ করা যায়। এমনও দেখা গেছে, কোনো বিশেষজ্ঞ সরকারি ডাক্তারকে শহর থেকে গ্রামে বদলি করলে তিনি গ্রামে না গিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে শহরেই প্র্যাকটিস করা ভালো মনে করেছেন। এসব ডাক্তারের অনেকেই অকারণে গরিব রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট করার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। যেখানে রোগীর হয়তো লাগবে কেবল রক্ত পরীক্ষা, সেখানে অনেক ডাক্তার সাহেব তাকে কয়েকটি টেস্টের জন্য পাঠান। ডাক্তারদের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন লেনদেনের সম্পর্ক থাকে। ফলে তারা নিজেদের কমিশনের কথা চিন্তা করে বেশি বেশি পরীক্ষার জন্য রোগীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। অনেক সরকারি ডাক্তার বেতন হিসেবে উপার্জিত অর্থের চেয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন থেকে অধিক আয় করেন বলে শোনা যায়। সরকার এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেয় না।
ডাক্তাররা ইচ্ছামতো ফি নেন। ইচ্ছামতো প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। সরকারি কাজে কিছুটা সময় দিয়ে বেশিরভাগ সময় বেসরকারি হাসপাতালে বা নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন। সরকারি হাসপাতালে গরিব রোগীরা ডাক্তারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত মনোযোগ পান না। তবে কোনো ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। অবশ্য এমন ব্যতিক্রমী ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করলে তার কোনো শাস্তি হয় না। ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য আরও বেশি। ভেজাল ওষুধে যেমন বাজার সয়লাব, তেমনি যে কেউ যে কোনো ওষুধ বিনা প্রেসক্রিপশনে ক্রয় করতে পারেন। রোগীর প্রতি ডাক্তার সাহেবদের অনেকের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, ভালো ব্যবহার না করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ কারণে আর্থিক সামর্থ্য আছে এমন রোগীদের বেশির ভাগই বিরক্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আর বড় রাজনৈতিক নেতা বা বিত্তশালীদের অনেকেই সামান্য অসুখ বিসুখেই বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান। ডাক্তার সাহেবদের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়েও ভালো সেবা পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রেই ৩-৪ জন রোগীকে একসঙ্গে ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। কী অত্যাচার! রোগীর তো প্রাইভেসি আছে। সেদিকে কে খেয়াল রাখবে? ডাক্তার সাহেবকে বেশি রোগী দেখতে হবে। বেশি আয় করতে হবে। এটিই তার কাছে মুখ্য। তার মধ্যে আবার মেডিকেল রিপ্রেজেন্টটিভদের অত্যাচার। রোগীর উপস্থিতিতে অনেক সময় তারা ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে যান। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। ওষুধের ফ্রি স্যাম্পল দেন। গিফট আইটেম দেন। রোগীরা বিরক্ত হলে তাদের কিছু আসে যায় না।
রাজনীতির অসুস্থতার কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যবসা জমে উঠেছে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের পক্ষে এসব ক্ষেত্রে সংস্কারে মনোযোগী হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকার কেবল নিজ ক্ষমতাকে নিরাপদ ও দীর্ঘায়িত করার জন্য সব ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি ও অন্যায়কারীদের বিরাগভাজন হতে চাইছে না। অন্যায়ের ন্যায্য প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করছে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীকে। গণসমর্থিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের পক্ষে ঠাণ্ডা মাথায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো মৌলিক খাতে সংস্কার উদ্যোগ নেয়া সম্ভব। আর তা না হলে সরকার নিজের ক্ষমতা রক্ষার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসব বিষয়ে সংস্কারের জন্য মনোযোগী হতে পারে না। কাজেই রাজনীতির সুস্থতা না থাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক খাতগুলোতে সরকার সংস্কার করতে পারছে না। আর এ কারণে এ দুই মৌলিক খাত ঘিরে নৈরাজ্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ধসে পড়েছে সেবার মান।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।