করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে দোকান বন্ধ করতে বলায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পুলিশ পরিদর্শক পিযুশ বৈরাগী জানান, শনিবার ময়েনদিয়া বাজারে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ও ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহলদল সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দোকানপাট বন্ধ করতে গেলে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও ময়েনদিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মাতুব্বর (৬০) এতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ সরকারি দায়িত্বে বাধা না দেয়ার অনুরোধ জানায় ও সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলে।
পরে পুলিশ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গেলে আব্দুল মান্নান মাতুব্বর ও তার ভাই পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান মাতুব্বরের (৫২) নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল পুলিশের উপর ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
এতে উপ-পুলিশ পরিদর্শক পিযুশ বৈরাগী, কনস্টেবল জালাল উদ্দিন (৫৬) ও মো. ফরহাদ হোসেন (৩৮) গুরুতর আহত হয় এবং টহল দলের সকলেই কমবেশি আহত হয়। তাদেরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত কনস্টেবল মো. ফরহাদ হোসেন জানান, দোকানপাট বন্ধ করতে গেলে অনেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দোকান খোলা রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে আব্দুল মান্নান মাতুব্বর ও সিদ্দিক মাতুব্বর দোকানিদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তাই আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ি।’
আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যতবড় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হোক না কেন।’