ঈদে ঘরমুখী মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে হঠাৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তিন দিন পর শুক্রবার আবার ফেরি চলাচল চালু হয়েছে। শুক্রবার বেলা বাড়ার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে ছিল ঘরমুখী মানুষের ভিড়।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের উভয় ঘাটে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখী যাত্রী পারাপার হচ্ছিল। এই নৌপথ দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঢাকামুখী মানুষের চাপের কারণে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হওয়ার কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) গত ১৯ মে সকাল ৭টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। প্রায় তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে পুনরায় শুরু হয় ফেরি চলাচল।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার বেলা বাড়ার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে ছিল ঘরমুখী মানুষের ভিড়। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অনেকে যানবাহন বদলে বদলে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন স্বজনের টানে। কাজের ক্ষেত্র সংকীর্ণ হওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে না পেড়ে রাজধানী ছেড়ে বাড়িতে ফিরছেন কেউ কেউ। ফরিদপুর যাবেন বলে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন আবুল কাশেম। ঢাকায় তিনি একটি বেসরকারি চাকরি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় থাকার অবস্থা নেই। বেতন বন্ধ, বোনাস হয়নি। ঢাকায় অনেক খরচ। গ্রামে গেলে অন্তত খেয়ে-পরে বাঁচতে পারব।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা বলেন, গত দুদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। যে কারণে ঐ গাড়িগুলো পার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলে শিথিলতা আসায় যাত্রীদেরও যেতে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা-আরিচা মহাড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট আছে, বাস চলতে দেয়া হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, মোট ১৬টি ফেরি প্রস্তুত আছে। বর্তমানে আটটি চালু রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে বাকি ফেরিগুলো যুক্ত করা হবে।