দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা পেতে যাচ্ছেন সরকারি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষকরা। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির এ পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেওয়া হলে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে না। শরীরচর্চা শিক্ষকদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আজকালের খবরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। প্রশাসনিক উন্নয়ন সক্রান্ত সচিব কমিটির আগামী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (সরকারি কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা) কর্মরত শরীরচর্চা শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার দাবি জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করলে শরীরচর্চা শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে সম্মতি দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরে অর্থ বিভাগের সম্মতির জন্য প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়ে বলেছে, আগে থেকেই এ পদের বেতন গ্রেড-১০ নির্ধারিত রয়েছে। পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করলে নতুন করে বেতন গ্রেড নির্ধারণ বা যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। বাড়তি বেতনও দিতে হবে না।
মাউশি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ (টিটিসি), সরকারি আলিয়া মাদ্রসাসহ সারা দেশে ৩২৭টি পুরাতন সরকারি কলেজ রয়েছে। গত মাসে ২৯০টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে বর্তমানে সরকারি কলেজের সংখ্যা ৬০৭টি। শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদায় উন্নীত হলে নতুন সরকারি কলেজে পদ সৃজন হলে সেসব কলেজের শিক্ষকরাও সমমর্যাদা পাবেন।
মাউশির সহকারী পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির মর্যাদার দাবিতে শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বাদী করে শরীরচর্চা শিক্ষকরা আদালতে একটি মামলা করেছিলেন। আদালত দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আদালত থেকে রায় বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চাইলে আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছি। দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হলে আদালত অবমাননা হবে।’