আজ আমি লক্ষ শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের আর্তনাদ ও কষ্টের কথা বলব৷ বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করছে৷ এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে৷
বর্তমানে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে৷ এখন চলছে বৈশ্বিক মহামারী, যার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত৷ সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র। কোটি কোটি ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করোনার প্রভাবে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে৷ তাই করোনা পরবর্তী সময়ে যাতে এই ক্ষতি সহজে পুষিয়ে নেয়া যায় সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে৷
লাখ লাখ নিবন্ধনধারীর দুঃখ-দুর্দশার কথায় আসি। যারা বিগত জানুয়ারি থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন৷ এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) এর সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন প্রথমে জানুয়ারি মাসেই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা বলেছিলেন৷ পরবর্তীতে তিনি অবসরে যাওয়ার ঠিক আগেরদিন দৈনিক শিক্ষার স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত টকশোতে বলেছিলেন, তৃতীয় গণ বিজ্ঞপ্তির জন্য সব প্রস্তুত আছে নতুন চেয়ারম্যান স্যার এসে যে কোন দিন ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেন৷
আমরা নিবন্ধনধারীরা বেকার অবস্থায় অনেক কষ্টে প্রতিটি দিন পার করছি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে আছি৷ সমাজে বেকারদের কোন মূল্যই নেই আজ আমরা অবহেলিত৷ এরই মধ্যে আমাদের মনের ভেতর আরেক ভয় কাজ করছে বয়স নিয়ে৷ কোন সময় বয়স ৩৫ বছর হয়ে যায়৷ যাদের বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি, ৩৫ এর বেশি হয়ে গেলে সব কিছুই যেন বৃথা৷ অনেক পরিশ্রম করে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়ে নিবন্ধন সনদ অর্জন৷ সব কিছুই বৃথা হয়ে যাবে যদি বয়স ৩৫ পার হয়ে যায়৷
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়, উপমন্ত্রী মহোদয় এবং এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ অতি দ্রুত ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক সংকট দূর করুন এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে দিন।
১ থেকে ১৫ তম নিবন্ধনধারীদের পক্ষে
নুর মোহাম্মদ
১৫ তম নিবন্ধনধারী
আমতলী, বরগুনা