এসএসসি পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেয়া প্রমোদ চক্রবর্তী অবশেষে ধরা পড়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর প্রতারণা করার পর আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ভোক্তা অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল তাকে প্রতারণার দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে প্রমোদ মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকার করেছেন আর কোনো দিন প্রতারণা করবেন না।
প্রতারণার শিকার রানা হোসেন নামে এক ব্যক্তি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে। তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নামধারী ডাক্তার প্রমোদ চক্রবর্তীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, প্রমোদ চক্রবর্তী তাঁর ভিজিটিং কার্ড ও ব্যবস্থাপত্রে নিজেকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার এবং মা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। মানিকগঞ্জের সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিংগাইরের দুটি ফার্মেসি এবং সাভার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত রোগী দেখতেন। স্থানভেদে ৩০০-১০০০ টাকা ভিজিট নিতেন। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামানা রুমেল। তিনি বলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে, প্রমোদ চক্রবর্তী ডাক্তারের নামে একজন প্রতারক। তিনি নিজেও প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।