ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখার সাময়িক বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক তিথী সরকারের ‘খোঁজ মিলছে না’ পাঁচ দিন ধরে। সাময়িক বহিষ্কারাদেশ রেখেই তাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখা।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে সংগঠনটির জবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দফতর সম্পাদক তিথী সরকারকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও গত পাঁচদিন যাবত তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এমতাবস্থায় তার কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তিথী সরকারের সন্ধান ও অভিযোগ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত তার ওপর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে।’
‘একইসাথে আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে তিথী সরকারকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক, থানায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার দায়ভার প্রশাসন এড়াতে পারে না’—বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তিথী সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ অক্টোবর তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠন মিলে বিক্ষোভ মিছিল করে। ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তিথী সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তিথী সরকারকে। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে তখন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খান বলেন, ‘আমরা কিছুদিন ধরেই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছি, পরবর্তীতে আমরা তাকে কয়েকবার (ধর্ম ও মতের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য) বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’