বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলুর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষকার্থীসহ এলাকাবাসী। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদরাসা চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে বাবলুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হক, মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হোসেন, হাফিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন, আব্দুস সালাম, অপিল উদ্দিন, শিক্ষার্থী নাঈম, সাকিব আল হাসানসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বাবলুর বাড়ির পাশ দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। এ সময় বাবলু তাকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে বাড়ির ভেতর ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাড়িতেই আটকে রাখে।
এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষক বাবলুকে আটক করে গনধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে বাবলুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, যে কর্মচারী নিরাপত্তা দিতে পারে না সে কর্মচারীর এ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। সেই সাথে দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরও জানান, তার বরখাস্তের বিষয়ে মাদরাসা অধিদপ্তরে আবেদন করা হবে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির জানান, ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছে।