বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে পথ আটকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দু'জন ছাত্রী। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন দপদপিয়া সেতুর টোল প্লাজার অদূরে রূপাতলী হাউজিংয়ের ৮ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থী এবং পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের আনিকা সরকার সিঁথি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দা ফেরদৌস জেবা, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শুয়াইব ইসলাম স্মরণ এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রাকিব মাহমুদ।
ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে ধর্ষণবিরোধী মোমবাতি মিছিল বের করা হয়। এ সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী মিছিলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব আহত হন। মোটরসাইকেল আরোহী ও তার সঙ্গে থাকা একজনকে ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত পুলিশ আটক করে। পরে পুলিশ দু'পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দুই যুবককে ছেড়ে দেয়।
কর্মসূচি শেষে চার শিক্ষার্থী অটোরিকশায় তাদের বাসা রূপাতলীর হাউজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক তাদের অনুসরণ করতে থাকে। রূপাতলী হাউজিংয়ে পৌঁছার পর তারা শিক্ষার্থীদের পথ আটকায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েক স্থানীয় যুবক। আধা ঘণ্টা আটকে রেখে ছাত্রীদের অশালীন ভাষায় গালাগাল এবং ছাত্রদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তারা।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহমুদুল মুনিম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাহিম মাহমুদ, আবীর ও লিমন নামে তিন যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হলেও শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।