কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা বদিউল আলম মুন্সী (৫২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে গতকাল দুপুরে কুমিল্লা আদালতে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পরে আদালত ওই শিক্ষককে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত বদিউল আলম ওই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিন মুন্সীর ছেলে এবং তিনি রাজামেহার ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক।
বাদী ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজামেহার বাজারে যান। এই সুযোগে বদিউল আলম মুন্সী একই বাড়ির পাশের ঘরের ওই কিশোরীকে তার নিজ ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীর মা বাড়ি ফিরে এসে তার মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় এবং বদিউল আলম মুন্সীকে তার ঘর থেকে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মাওলানা বদিউল আলম মুন্সীকে আসামি করে গত মঙ্গলবার বিকেলে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মিঠুন সিংহ জানান, ‘বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে এবং গতকাল অভিযুক্ত মাওলানা বদিউল আলম মুন্সীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও রাজামেহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাদী ও অভিযুক্ত বদিউল আলম মুন্সী একই বাড়ির। তাদের দুই পরিবারের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ ঘটনার সত্য-মিথ্যা নিয়ে মন্তব্য করা খুবই কঠিন। তবে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।’