নরসিংদীর পলাশে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উঠেছে নোটারি পাবলিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিকেলে তিনজনকে আসামি করে পলাশ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই স্কুলছাত্রীর মা।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রের অনুলিপি নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতি ও নরসিংদী প্রেসক্লাবেও পাঠানো হয়। ওই ছাত্রীর বাবা-মা অভিযোগ করেন, তাদের ১২ বছরের মেয়েটি বাড়ির পাশে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওয়াজ শুনতে যায়। গভীর রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জিনারদী ইউনিয়নের পলাশেরচর গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে সম্রাট এবং একই গ্রামের নয়ন ও আকরাম মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে সম্রাট নিজ বাড়িতে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এদিকে সারারাত ছাত্রীটিকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে অচেতন অবস্থায় সম্রাটের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওই ছাত্রী পরিবারকে ঘটনার কথা জানায়।
এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আজাদের নেতৃত্বে আপস মীমাংসার নামে মেয়েটিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বয়স বেশি দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাউকে না জানিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিবার জানতে পারে, নোটারি পাবলিকে বিয়ের ঘোষণাপত্রের অনুমোদন দেয়া হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
এ বিষয়ে কথা বলতে মনিরুজ্জামান আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, ‘আমরা অশিক্ষিত গরিব ও অসহায় মানুষ। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’।
পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।