মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৪ জুন শিশুটি নির্যাতনের শিকার হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যশলদিয়া (শিমুলতলা) গ্রামের আলাউদ্দিন হাওলাদার আলামনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে সালিসকারী খলিলুর রহমান শেখকেও (৫৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ৮ জুলাই ভুক্তভোগীকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার। পরে ভুক্তভোগীর মাকে ডেকে শামিমা বলেন, তাঁর মেয়েকে এ বিদ্যালয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। তবে মেয়েটি মাদরাসায় পড়লে তাকে টিসি দেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে শিশুটির মা বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুন সকালে বাড়িসংলগ্ন ক্ষেতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আলাউদ্দিন হাওলাদার। পাশাপাশি ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে মেয়েটি বাড়ি ফিরে মাা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয় সালিসকারী খলিলুর রহমান শেখ ও করিম ছৈয়াল বিষয়টি আপসের চেষ্টা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর শুক্রবারই অভিযুক্ত আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবির চালাতে আসে সালিসকারী খলিলুর। তখন তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত ও সালিসকারীকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।