আমাদের দেশে ধূমপানবিরোধী আইনে ‘পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ’ করা হলেও সর্বত্র তামাকজাত পণ্য বিক্রির অবাধ সুযোগ রয়েছে। পাবলিক প্লেস বলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু আইনের সংজ্ঞায় ‘পাবলিক প্লেস’ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের এলাকাকে উল্লেখ না করায় দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই চা, পান, বিস্কুট ইত্যাদির সঙ্গে সিগারেটও বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশের এলাকায় ধূমপানের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই ধূমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ধূমপানবিরোধী আইনে ১৮ বছরের নিচে কোনো কিশোর বা তরুণের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও এর কোনো তদারকি নেই। এই আইন ভঙ্গ করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও কোথাও তা মানতে দেখা যায় না। তামাকজাত পণ্য বিশেষ করে সিগারেট বিক্রির ওপর কোনো রকম বিধি-নিষেধ না থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তাদের হাতের কাছে সিগারেট পেয়ে যাচ্ছে।
আর ধূমপানের মধ্য দিয়েই কিশোর ও তরুণরা নেশার জগতে প্রবেশ করে পরবর্তী সময়ে মাদকের প্রতিও আসক্ত হচ্ছে। দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যই আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে সকল প্রকার নেশা ও বদভ্যাস থেকে দূরে রাখতে হবে। তাই ধূমপানবিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করা একান্তভাবে জরুরি। সেইসঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে। মনে রাখতে হবে ধূমপান বিষ পানেরই সমতুল্য।
ফরিদপুর