নওগাঁর সাপাহারে রাতের আঁধারে ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগ। মানববন্ধনে বৃক্ষ নিধনে দায়িদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে যবিপ্রবির মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরি কাম একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে ইএসটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা বলেন, একটি দেশের মোট আয়তনের মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে বৃক্ষ রোপন করে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তি দ্বন্দ্বের কারণে বৃক্ষ নিধন করে প্রকৃতির উপর নির্মম প্রতিশোধ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। প্রকৃতির পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধন কখনোই সচেতন মানুষ মেনে নিতে পারে না। যারা নিজেদের শত্রুতার জন্য ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের এখনই না থামালে এ দুর্বৃত্তায়ন চলতেই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নওগাঁর জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলার শাস্তি হিসেবে তাদেরকে এক লাখ গাছ রোপনের শাস্তি আরোপ করা হোক। একইসঙ্গে তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেন কেউ আর মানুষের পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধনে সাহস না পায়।
ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গাছের উপর আক্রোশ অত্যন্ত নিন্দনীয়। কারণ গাছ সব সময় মানুষের উপকার করে, কখনোই কারোর ক্ষতি করে না। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট মো: মজনুজ্জামান, ইএসটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুষার কুমার দাস, তাপস কুমার চক্রবর্তী, সামিনা জামান, প্রভাষক ছাবিহা সরোয়ার, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদসহ ইএসটি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।