বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৩ই ডিসেম্বর ঠিক করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২৫শে জুলাই আদালত শারমিন জাহানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৮শে জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪শে জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২৩ জুলাই নকল মাস্ক সরবরাহের ঘটনায় বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এন৯৫ মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএসএমএমইউ'তে গত ২৭শে মে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া বিষয়টি গৃহীত হয়। এরপর গত ২৭শে জুন একটি কার্যাদেশের মাধ্যমে ১১ হাজার এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে বলা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি গত ৩০শে জুন প্রথম লট, গত ২রা জুলাই দ্বিতীয় লট, তৃতীয় লট ও গত ১৩ই জুলাই চতুর্থ লটে যথাক্রমে এক হাজার ৩০০ পিস, ৪৬০ পিস, এক হাজার পিস ও ৭০০ পিস ফেস মাস্ক সরবরাহ করে।
এতে আরও বলা হয়, এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেওয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তৃতীয় ও চতুর্থ লটের মাস্ক বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায়। এসব মাস্কের গুণগতমান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো ফেস মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিড়ে গেছে। কোনো কোনো ফেস মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে। আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে গত ১৮ই জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নকল মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। আসামি শারমিন জাহান গত ২০শে জুলাই লিখিত জবাবে দুঃখ প্রকাশ করেন, যা প্রতিষ্ঠানটির দোষ স্বীকারের সামিল।