ভার্চুয়াল জগতে আদতে কেউই যে সুরক্ষিত নয়, নানা অ্যাপে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা যেন সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এর আগেও ট্রু-কলারসহ বহু অ্যাপে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। দেখতে সাদামাটা অ্যাপ হলেও তাতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। সম্প্রতি, গুগল এমন সাতটি অ্যাপকে গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অ্যাপগুলো মূলত শিশু সুরক্ষা কিংবা চুরি যাওয়া ফোন সন্ধানের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা বললেও আদতে তা ব্যবহৃত হতো কর্মচারী কিংবা সঙ্গীর ওপর নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে। নজরদারি চালানোর মাধ্যম হিসাবে এই অ্যাপগুলো নিশানা করত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবস্থান, কনট্যাক্ট লিস্ট এমনকি এসএমএস ও কল হিস্ট্রির ওপরে।
মোবাইল সুরক্ষা তথা অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানি অ্যাভাস্ট জানিয়েছে, প্রতিটি অ্যাপের পিছনে রয়েছেন একজন রাশিয়ান ডেভেলপার। এ ছাড়াও এই অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপগুলোকে ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে চিহ্নিত করার পরেই এই সাতটি অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেয় গুগল। প্লে স্টোর থেকে অ্যাপগুলো সরালেও বিপদ কাটছে না নেটিজেনদের। এর মধ্যেই এই অ্যাপগুলো এক লাখ ৩০ হাজার বার ইনস্টল করে ফেলেছেন গোটা দুনিয়ার বহু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। স্পাই ট্র্যাকার এবং এসএমএস ট্র্যাকার—এই দুইটি অ্যাপই ডাউনলোড হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বার।
অ্যান্টি-ভাইরাস সংস্থা অ্যাভাস্টের এক আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তি গোপনীয়তার ক্ষেত্রে এই অ্যাপগুলো অনৈতিক এবং সমস্যাপ্রবণ তাই প্লে স্টোরের মতো এক বহুল ব্যবহৃত সাইটে এই অ্যাপগুলো রাখা অনুচিত। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নড়েচড়ে বসেন গুগল কর্তৃপক্ষ। মোট সাতটি অ্যাপ চিহ্নিত করে সরিয়ে দেয় এই মার্কিন সংস্থা।