কাগজে-কলমে, রেকর্ডে, সুনামে - সব বিবেচনাতেই এখনও বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ধারে কাছেও নেই বাংলাদেশ। প্রথম কথা, গতবারসহ পাঁচ পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তারা জানে কীভাবে বড় টুর্নামেন্ট জিততে হয়।
একদিনের ক্রিকেটে দু’ দেশের মধ্যে লড়াই হয়েছে ১৯ বার। ১৮ বারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তারপরও কি বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়াকে হারানো বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব? বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
কলকাতার ক্রিকেট বিশ্লেষক বরিয়া মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। বাংলাদেশ যদি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকে (ওয়ার্নার এবং ফিঞ্চ) তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারে, সবকিছুই তখন সম্ভব।
তিনি বলেন, বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলটির বোলিং ততটা সুবিধার নয়। বিশেষ করে স্পিনে তাদের ঘাটতি রয়েছে।
বরিয়া মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সকে সামাল দেওয়া। মাঝের ওভার ম্যাক্সওয়েল বা জাম্পাকে দিয়ে বল করালে তাদের পেটানো বড় সুযোগ পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।
তবে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট স্পিন ঘাটতি পোষানোর উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া 'এ' দল থেকে অ্যাশ্টন আগারকে তলব করে এনে গত দুদিন ধরে প্র্যাকটিস করানো হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং জাতীয় দলের সাবেক কোচ শহিদুল আলম রতন বলেন, নটিংহামের মাঠে মনোবল ধরে রাখাই হবে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র। অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই বিপজ্জনক দল, এই বিশ্বকাপেও তারা ভালো খেলছে। তবে দুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাস্তানাবুদ করার পর বাংলাদেশ দলের মনোবলও এখন অনেক উঁচুতে, সেই মনোবল ধরে রাখাই হবে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র। তাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে।
শহিদুল আলম মনে করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যে দল নিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে, বৃহস্পতিবারও সেই একই দল নিয়ে খেলা উচিৎ।
কী বলছেন মাশরাফী
বাংলাদেশের অধিনায়ক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মঙ্গলবার নটিংহামে সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জেতা কঠিন হবে, তবে অসম্ভব নয়। যে আত্মবিশ্বাস দরকার ড্রেসিং রুমে তা রয়েছে।
বাংলাদেশ শিবিরের উদ্ধৃতি দিয়ে রায়হান মাসুদ বলছেন, নটিংহামে মাঠ ও পিচের তেমন কোনো পরিবর্তন না হলে সোমবারের ম্যাচের 'উইনিং কম্বিনেশন' বদলানোর কোনো ইচ্ছা দলের নেই। অধিনায়ক মাশরাফীও সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।