মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনা,
নিতান্ত নিরুপায় হয়েই নতুন এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনার কাছে এই খোলা চিঠি। ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন।
আপনি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর ২৭৩০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও ঘোষণা করেছিলেন। যদিও কয়েকদিন পরে আলো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়ে। সর্বমোট হয়তো দুই হাজার ৭৪৫টির মতো হবে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা দারুন খুশী হয়েছিলেন। বেতনহীন শিক্ষকরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন। যেহেতু ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী এমপিওর তালিকা ঘোষণা করেছেন। তাই সবাই আশা করেছিলাম অতিদ্রুত আমরা বেতন ছাড় শুরু হবে।
তালিকা ঘোষণার কয়েকদিন পরে আমাদেরকে বলা হলো সব কাগজ নিয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে হাজির হতে। আমাদের স্কুলের সব কাগজ দেখে কর্মকর্তারা বললেন আপনাদের কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের নামে ও নানা অজুহাতে দীর্ঘ সময় নষ্ট করা হলেও অদ্যাবধি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ছাড় করা হচ্ছে না। কোড নম্বরই দেয়া হয়নি। ইনডেক্স তো দূরের কথা। সামনে জুন মাস পার হলে এই এক বছরের বেতন আর পাওয়া সম্ভব হবে কি? এমন প্রশ্নও জাগছে শিক্ষকদের মনে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।আপনি মানবতার মা আপনিই পারেন ভুক্তভোগীদের দুঃখ কষ্ট লাঘব করতে।
করোনার এই ক্রান্তিকালে আপনার নতুন ঘোষিত শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারিবৃন্দের দ্রুত সরকারি বেতন ভাতা পাওয়ার সুব্যবস্থা করতে আপনার একটি আদেশ আমাদের একান্ত প্রত্যাশা। আপনার আদেশ পেলেই আমরা সবাই আসছে ঈদের আগে বেতন-ভাতা পাবো।
বিনয়াবনত
অনিল কুমার চক্রবর্ত্তী, প্রধান শিক্ষক, দাউদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ।
(নতুন এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে)