ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের 'ঘ' ইউনিটে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। চারজন ডিনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভায় এ তারিখ নির্ধারণ করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে। এ ছাড়া এখন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলছে। তারিখ চূড়ান্ত হলে জানানো হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর আগে ৯টা ১৭ মিনিটে ওই পরীক্ষার উত্তরসহ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। পরে মূল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখা যায়, পরীক্ষার আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ৭২টি প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ছাড়া বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটি তাদের অনুসন্ধানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পায়। এর পরও কর্তৃপক্ষ ১৬ অক্টোবর 'ঘ' ইউনিটের ফল প্রকাশ করে।
এ বছর 'ঘ' ইউনিটে এক হাজার ৬১৫টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছিলেন ৯৫ হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী।
নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তাতে শুধু উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নতুন এ সিদ্ধান্তকে 'আংশিক ন্যায়বিচার' বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হয়েছে। তবে শুধু উত্তীর্ণদেরই আবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। কারণ, হয়তো ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র যারা পেয়েছে, তারাই উত্তীর্ণ হয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে পরীক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায়বিচার হচ্ছে না। অনুত্তীর্ণ অনেকেই হয়তো হতাশা থেকে পরীক্ষায় খারাপ করেছে।