২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সরকারি নতুন পাঁচ মেডিকেল কলেজ চালু হওয়ায় এমবিবিএস কোর্সে আরো ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নওগাঁ, নেত্রকোনা, নীলফামারী ও মাগুরায় নতুন মেডিকেল কলেজ চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এতে ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এছাড়া চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ করার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। নতুন শিক্ষাবর্ষে অতিরিক্ত ২৫০ জন সহ ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৪ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
গত শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেছে নতুন করে অতিরিক্ত ৭৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো জানান, আগামী নভেম্বরের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে সাত হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।
দেশের চিকিৎসাসেবায় সংকট দূরীকরণে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে উত্তীর্ণ সকলকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হবে। সেখানে তিন বছর তাদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় নতুন করে পাঁচটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এসব মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শাহবাগে বিএসএমএমইউর পাশে এক হাজার শয্যার নতুন একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেডিকেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। কোরিয়া সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ হাসপাতালটি তৈরি করা হবে। এছাড়া আগামী ১৩ই অক্টোবর উদ্বোধন করবেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছি। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।