কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমর নদীর তীব্র ভাঙনে উপজেলার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে আরো ৫টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যা ও নদী ভাঙনে সদর উপজেলায় একটি, রৌমারীতে দুইটি, চিলমারীতে তিনটি এবং উলিপুর উপজেলায় চারটিসহ ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ফুলবাড়ির মেকলির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর উপজেলার নন্দ দুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে, নদ-নদীর স্রোতে বিদ্যালয়গুলো বিলীন হয়ে যাওয়ায় স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকগণ পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
নন্দ দুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক সুলতানা আক্তার জানান, করোনাভাইরাসে বাচ্চাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার উপর বন্যা ও নদী ভাঙনে আমরা দিশেহারা। এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন মোকাবেলায় কাজ করলেও তা কোন কাজে আসছে না। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শহীদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ভাঙনে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর আপাতত:টিনশেডে স্কুল নির্মাণে প্রতিটির জন্য তিন লাখ টাকা করে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পানি শুকিয়ে গেলে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোর স্থানান্তরসহ পুনর্নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।