আমরা সারাদেশের প্রায় ১ লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। অনেকে এই নন-এমপিও বৈষম্যের শিকার অনেকে ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ছোট পরিসরে এমপিও দেয়া হয়। এর পর শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। সার্বিক বিষয় সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন। সবশেষ ১ জানুয়ারী ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে আন্দোলনের এক পর্যায়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ও শিক্ষা সচিব আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেন। বর্তমান অর্থবছরে বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেন “বাজেট আলোচনা সুখবর দিয়ে শুরু করছি, দীর্ঘ দিনের নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে এমপিও খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্ধ রাখা হয়েছে”।
এরপর এমপিওর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান যাচাই বাছাই করা হচ্ছে- এমন নানা খবর শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত পেলাম না। শোনা যাচ্ছে- সারাদেশের ১ হাজারেরও বেশি বিএম শাখা বাহিরে রেখে এমপিওভুক্তি করা হবে। এর আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ছাড়াও আমরা শিক্ষক সমাজ মনে করি, শুধু শিক্ষকদের এ কাজটি করতে যদি সরকারের ১৫ থেকে ২০ বছর লেগে যায়, তাহলে নেতৃত্বের ওপরের স্তরের প্রতি জনগণের আর কোনো আস্থা থাকবে না। নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীসহ সব দপ্তরে স্মারকলিপির মাধ্যমে বেতনের আংশিক দাবি করে (২৫ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ দিয়ে) একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান এমপিওকরণের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি করেন। যাতে আমরা মানবেতর জীবনযাপন থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
মো. আনিচুর রহমান : প্রভাষক, গলাচিপা, পটুয়াখালী।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]