যোগ্য-অযোগ্য নির্বিশেষে সব প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি চান শিক্ষক-কর্মচারীদের একাংশ। এ দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে আমরণ অনশন শুরু করছেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার। এদিকে, এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী শুধু যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার।
এদিকে একযোগে ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ও হস্তক্ষেপ কামনা করে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বেলা বারোটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে প্রেসক্লাবের কাছেই কদম ফোয়ারার সামনে মিছিলের গতিরোধ করে পুলিশ। সেখান থেকে ফিরে এসে তারা ফের প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
বিকেলে ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একযোগে ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল থেকে আমরণ অনশন শুরু করছেন শিক্ষকরা। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ও হস্তক্ষেপ কামনা করে তাঁর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে বিকেলে সভা করে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ‘আমরা দাবি আদায়ে আগামীকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জুম্মার নামাজ আদায় করবো। এরপর দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া শেষে স্বীকৃতিপ্রা্প্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করবেন।’
প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আর জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অধিকার আদায়ের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। নতুন নীতিমালাটি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা হলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান করিয়ে আসছি। ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেলেও নীতিমালার কথা বলে আমাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। একাডেমিক স্বীকৃতিই এমপিও মানদণ্ড। আমরা সে হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হবে সে আশা করছি। তাঁরা আরও জানান, ‘আমরা শুরু থেকেই দাবি জানাচ্ছি স্বীকৃতপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার। বিভিন্ন সময়ে সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে তখন সব যোগ্যতাই ছিলো। কয়েকবছর আগে পরে এমপিওভুক্তির সময় শিক্ষার্থী কম, অমুক-তমুক কম বলা হচ্ছে। কিন্তু তা শিক্ষকদের কাছে এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না’।
শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমরা নীতিমালা মানিনা। নীতিমালা একটাই একাডেমিক স্বীকৃতি। নতুন এমপিও খুবই কঠোর। এ নীতিমালা রাজনৈতিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। শিক্ষক সমাজ বা সুধি সমাজ থেকেও তা পর্যালোচনা করা হয়নি। এ নীতিমালা আমরা মানি না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে আগত কয়েকশ ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।
