এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত ননএমপিও শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১৪ নাগরিক। রোববার (১ জুলাই) সাংবাদিক, লেখক কামাল লোহানী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিবৃবিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, কথাশিল্পী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, লেখক ও রাবির সাবেক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ, শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমেদ, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার, নাট্যকর্মী মামুনুর রশিদ, সাবেক অধ্যাপক ও সংস্কৃতি কর্মী কাজী মদিনা, শিক্ষাবার্তা ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষক এএন রাশেদা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, সংষ্কৃতি কর্মী শংকর সাঁওজাল এবং সংগীত শিল্পী সঙ্গীতা ইমাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেটে এমপিওভুক্তির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তারপরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলা হচ্ছে। এদিকে পাঁচ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রণালয় জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করায় শিক্ষকরা চরম হতাশ।
স্বীকৃতির সময় ছয় বছর বেতন দেব না, এ শর্ত দিয়ে ২০ বছর বা তা চেয়ে বেশি সময় বেতন না দেয়া কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে হবে। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী তাদের মুখে শরবত তুলে দিয়ে বলেছিলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের আর কোনো আন্দোলন করতে হবে না। অথচ তার সময়েই শিক্ষকরা রাস্তায় অনশন করছে। পুলিশের নির্যাতন সহ্য করছে। যা জাতির জন্য যেমন কলঙ্কের তেমনি বেদনারও। শিক্ষকদের দাবি দাওয়া দ্রুত মেনে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।