ননএমপিও একটি অপরিশীলিত পরিভাষা। প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত নয়; ফলে শিক্ষক বছরের পর বছর দুর্ভাগ্যের শিকার। অথচ পাঠদানের অনুমতি আছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যোগ্যতাও রাখে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির অনন্ত অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানভেদে এমপিও, ননএমপিও প্রায় সমানে সমান। স্কুলের অতিরিক্ত শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত, কলেজের অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি যেন নিষিদ্ধ দাবি! এ তো হাত-পা বেঁধে সাঁতরানোর জন্য ছেড়ে দেবার অপপ্রয়াস!
লজ্জাজনক, সরকারি অর্থায়ন নেই, অথচ অনার্স-মাস্টার্সের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে! এমপিও হবার পর পদ খালি হলে হয় ‘শূন্যপদ’। ঐ ভাগ্যাহতগণ তো ‘সৃষ্টপদে’ যোগদানকারী। ‘আজন্ম ননএমপিও’ ও ‘সৃষ্টপদে’ যোগদানকারী সবার প্রতি অবহেলা শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাব্যস্থার জন্যই দুঃখজনক। তারা দারুণ অসহায়, তাদের অভাবও অন্তহীন। কাজেই মানুষ গড়ার কারিগর ননএমপিওদের বাঁচার অধিকার রক্ষায় ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ,
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর
সৌজন্যে: ইত্তেফাক