নবসৃষ্ট পদে এমপিও জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাচ্ছে অধিদপ্তর - দৈনিকশিক্ষা

নবসৃষ্ট পদে এমপিও জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাচ্ছে অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নতুন এমপিও নীতিমালা অনুসারে স্কুল ও কলেজের নবসৃষ্ট পদে এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নবসৃষ্ট পদে জটিলতা নিরসনের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবির মুখে এ জটিলতা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আহ্বান করার প্রস্তুতি নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে চিঠি পাঠানো হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে সূত্র।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অবস্থান নেন নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে না পারা প্রার্থীরা। তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অনেক প্রার্থী নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারছে না। আবার অনেকে এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে। একই পদে নিয়োগ পেয়ে কেউ এমপিও পাবে কেউ পাবে না, প্রশ্ন তোলেন তারা। 

জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর এমপিও কমিটির সভায় নবসৃষ্ট পদে এমপিও জটিলতা নিরসনের বিষয়ের আলোচনা হয়। সভায় এমপিও কমিটির সদস্যরা নবসৃষ্ট পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া নবসৃষ্ট পদে নির্ধারিত অর্থবছরের আগে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্তদের জটিলতা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।    
 
ভুক্তভোগী প্রার্থীরা জানান, মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি। গত ২৪ নভেম্বর সভায় সিদ্ধান্ত হলেও সে বিষয়ে কোনো চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। মন্ত্রণালয়ে যোগযোগ করলে কর্মকর্তারা কোন চিঠি পাননি বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে, গত একমাস যাবত শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তাই আমরা অধিদপ্তরে এসে নবসৃষ্ট পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাঠানোর বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই। এদিকে সকালে মহাপরিচালক মহোদয় আজই নির্দেশনা চাওয়া হবে বলে আমাদের জানান। কিন্তু সে আশ্বাস বিশ্বাস না করে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। দুপুর পর্যন্ত সে বিষয়ে অগ্রগতি না হলে এক কর্মকর্তা আমাদের জানান আজ এ বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। তখন আমরা মহাপরিচালকের রুমের সামনে অবস্থান নেই। পরে আমাদের জটিলতা নিরসন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন কর্মকর্তারা। পরে, কর্মকর্তাদের আশ্বসে আমরা অধিদপ্তর ত্যাগ করি। 

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিও জটিলাতার নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করে কর্মকর্তারা। 

জানা গেছে, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির আদেশে ভৌতবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে শুরু করতে বলা হলেও এনটিআরসিএর মাধ্যমে ২য় নিয়োগ চক্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এসব পদে সুপারিশ পেয়ে যোগদান করেছেন কয়েকশ প্রার্থী। নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণের আদেশ ও প্রকৃত নিয়োগের অর্থবছর আলাদা হওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। 

গত ৩০ মে  স্কুলের ৯টি এবং কলেজের ৭টি পদে নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করা হয়। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষক এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়ে নবসৃষ্ট বিভিন্ন পদে যোগদান করেছেন। 
 
সে আদেশের প্রেক্ষিতে বেসরকারি কলেজগুলোতে নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, নির্ধারিত আর্থিক বছরের আগে এসব পদে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবেনা। তাই, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নবসৃষ্ট পদে নিয়োগপ্রাপ্ত যারা এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়ে যোগদান করেছেন তাদের এমপিও আবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অগ্রায়ন করছিলেন না। 
    
প্রসঙ্গত, গত ৩০মে বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসারে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ১৬টি পদে নিয়োগের আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পদগুলোর মধ্যে স্কুলের ৯টি এবং কলেজের ৭টি পদ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্কুলের ১টি ও কলেজের ২টিসহ মোট ৩টি পদে এ বছরই নিয়োগ ও এমপিও প্রদান করা হবে। সে প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নবসৃষ্ট পদে এমপিও ও নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। 

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.007645845413208