নরসিংদী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ মার্চ) এ স্যানিটাইজার বিতরণ করেন তারা।
নরসিংদীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও মাঠে নেমেছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এই মুহূর্তে বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সংকট দেখা দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামালেরও। ফলে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, একজন সচেতন মানুষও বাজারে বা কোনো ফার্মেসি থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে একমাত্র সাবানই তাদের ভরসা। এছাড়া বাজারে লিকুইড সাবানসহ ডেটল ও স্যাভলন জাতীয় সাবানেরও সংকট দেখা দিয়েছে তীব্রভাবে।
এমন পরিস্থিতিতে নরসিংদী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের কয়েকজন ছাত্র বুধবার (২৫ মার্চ) তাদের কলেজের ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান আকন্দ এর নির্দেশনায়, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফখরুদ্দীন ও সহযোগী অধ্যাপক হামিদা আনজুমান এর তত্ত্বাবধানে, প্রদর্শক আব্দুল আজিজের সহযোগিতায় কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ৫ শতাধিক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেন। পরে কলেজের মসজিদে আগত মুসল্লিদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কলাকৌশল শিখিয়ে দেন এবং বিনা মূল্যে এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন।
বর্তমানে দেশের এই ক্রান্ত্রিকালে বাজারে ও ফার্মেসিগুলোতে যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছিল না ঠিক সেই মুহুর্তে নরসিংদী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পক্ষ থেকে সামান্য পরিমাণে হলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করায় কিছুটা হলেও উপকারে আসবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান আকন্দ।
কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফখরুদ্দীন ও সহযোগী অধ্যাপক হামিদা আনজুমান জানান, দেশের এই ক্রান্তিকালে কলেজের পক্ষ থেকে রসায়ন বিভাগের হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কিছুটা হলেও কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। তবে আরও বেশি করে দিতে পারলে ভালো লাগতো।
শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে যারা এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছেন তারা জানান, যখন দেখছি বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, সাধারণ মানুষও এসব পণ্য সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহুর্তে আমরা কয়েকজন মিলে শিক্ষকদের অনুরোধে, নির্দেশনা ও তত্বাবধানে এসব পণ্য তৈরি করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরে ভালো লাগছে।