নাটোরে কিছু কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। গাইড বইকে পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা সহায়িকা হিসেবে উল্লেখ করে তারা এসব বই কিনতে তাদের উদ্বুদ্ধ করছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নামিদামি গাইড কোমপানিগুলো শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই জেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের বই বুকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করছে। চলতি বছর জেলার সাত উপজেলায় কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করেছে সংশ্লিষ্ট কোমপানিগুলোর প্রতিনিধিরা। এতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নাটোর শহরের মর্ডান, মুক্তধারা ও বইমেলা লাইব্রেরি বিভিন্ন কোমপানির হয়ে তাদের গাইড পাঠ্য করার জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা চুক্তি করেছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর তারাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে চুক্তির টাকা পৌছে দিচ্ছেন। গাইড ব্যবসা করেই তারা ক্ষান্ত হননি, লাইব্রেরিমালিকরা নিজেরাই জড়িয়েছেন প্রকাশনা ব্যবসায়ে। অভিযোগ আছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি টাকা ছড়িয়েছে আদিল ব্রাদার্স। এই কোমপানি বিভিন্ন স্কুলে দুই থেকে চার লাখ পর্যন্ত নগদ টাকা দিয়ে নিজেদের বই পাঠ্য করেছে। আদিল ব্রাদার্সের পর জেলায় গাইড বিক্রির শীর্ষে রয়েছে লেকচার পাবলিকেশন্স। জেলা শহরকে টার্গেট করেই মূলত বইয়ের ব্যবসা চালাচ্ছে কোমপানিটি। অভিযোগ আছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে মোটা অংকের লেনদেনের বিনিময়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার ৫৫টি আনন্দ স্কুলে তাদের বই পাঠ্য করিয়েছে লেকচার প্রকাশনী। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া।
অভিযোগ রয়েছে, নাটোরে গাইড ও নিজেদের প্রকাশিত বইয়ের ব্যবসার শীর্ষে রয়েছে মর্ডান লাইব্রেরি। লাইব্রেরিটি একসঙ্গে লেকচার, পাঞ্জেরী, জুপিটার, অনুপম, নিউরন,