নারায়ণগঞ্জে অতি দ্রুত করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ৪৬ সংগঠন। বুধবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বের প্রায় সমগ্র দেশের মতো বাংলাদেশও আজ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু দেশে প্রথম নারায়ণগঞ্জে করোনা শনাক্ত হয় এবং বর্তমানে এর তীব্রতা ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ পর্যন্ত এখানে ৪০ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে বহু লোক মৃত্যুবরণ করলেও পরীক্ষার অভাবে তা শনাক্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর পরে পরীক্ষা করে করোনা শনাক্তের কারণে নারায়ণগঞ্জের প্রাদুর্ভাব প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল মাত্র ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা ও স্ব-স্ব ঘরে থাকার মাধ্যমেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের নারায়ণগঞ্জে এমনি আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেও করোনা পরীক্ষা করার ল্যাব এখনও পর্যন্ত এখানে স্থাপন করা হয়নি। ঘনবসতি ও শ্রমিকাঞ্চল হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ক্রমান্বয়ে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যা সমগ্র দেশের জন্যও আতঙ্ক ও হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা অনতিবিলম্বে নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাব স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা সংগঠনসমূহ হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, আমরা নারায়ণগঞ্জ বাসী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা, কমিউনিস্ট পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা, বাসদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা, ওয়ার্কার্স পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা, গণসংহতি আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা, উদীচী, নারায়ণগঞ্জ জেলা, সমগীত, নারায়ণগঞ্জ জেলা, খেলাঘর, নারায়ণগঞ্জ জেলা, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ, জেলা শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, মহিলা ফ্রন্ট, উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংগঠন, বসন্তবাহার সঙ্গীত একাডেমি, আনন্দধারা, শহুরে গায়েন, ষড়জ সাংস্কৃতিক সংগঠন, অনন্যা সঙ্গীত একাডেমি, শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমি, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, প্রগতি সাহিত্য পরিষদ, গঙ্গাফড়িং, আওইয়ান গিটার পরিষদ, চন্দ্রবিন্দু, একতা খেলাঘর, সমীরণ খেলাঘর, ক্রান্তি খেলাঘর, কণ্ঠমালা আবৃত্তি সংগঠন, এই বাংলায়, অশোক স্মৃতি সঙ্গীতাঙ্গন, কথন আবৃত্তি সংগঠন, যোদ্ধা, অর্চণা একাডেমি, ঐকিক থিয়েটার, উঠান থিয়েটার, সমমনা।