গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করার কারণে নাসিরনগরে এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (জেএসসি) ফলাফলে বিপর্য ঘটেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ২০ শতাংশ কমে গেছে। কমেছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিও।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল শনিবার(৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।
এবার নাসিরনগরে পাসের হার ৪১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ বছর উপজেলার ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৫০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন। উপজেলার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ মাকছুদুর রহমান জানান,এবার গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফেল করায় এবং অনিয়মিত সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সুযোগ দেয়ায় ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে।
গত বছর-২০১৬ সালে পাশের হার ছিল ৬০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৭ জন। ফলাফলের বিপর্যয় ঘটায় অভিভাবক ও সচেতন মহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক সূত্রে জানা যায়,এ বছর নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৭ জন,পাসের হার ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৭৬ জন,পাসের হার ৭৭ দশমিক ১৯ শতাংশ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৭ জন,পাসের হার ৮৪ দশমিক ৮১ শতাংশ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।ভলাকুট কে.বি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫২ জন,পাসের হার ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।গোর্কণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০৪ জন,পাসের হার ৬৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫১ জন,পাসের হার ৩২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৭ জন,পাসের হার ৪০ দশমিক ০৯ শতাংশ । চাপরতলা সৈয়দ কামরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৪ জন,পাসের হার ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। গুনিয়াউক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন,পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ।
গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন,পাসের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। হরিনবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন,পাসের হার ৩৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। বড়নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৮ জন,পাসের হার ৪৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।বিজয়লক্ষী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন,পাসের হার ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।ধরমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৭ জন,পাসের হার ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ। নুরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ জন,পাসের হার ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪১ জন,পাসের হার ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পূর্বভাগ এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল থেকে ৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩০ জন,পাসের হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শ্রীঘর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০ জন,পাসের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪ জন,পাসের হার ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়(মাধ্যমিক পযার্য়ে) থেকে ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪ জন,পাসের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।কাঠালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়(মাধ্যমিক পর্যায়)থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯ জন,পাসের হার ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।