নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুরসহ দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় তিন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও আট বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছ থেকে খবর পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আল নুর ও লিনউড মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছুড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউকে।
আরও পড়ুন: অল্পের জন্য রক্ষা পেল বাংলাদেশি খেলোয়াড়েরা
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ দুই মসজিদে হামলায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আল নুর মসজিদে গুলি শুরু হলে তারা প্রাণ বাঁচাতে সেখানে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। মসজিদের বাইরে রক্তাক্ত লোকজনকে পড়ে থাকতে দেখার কথাও জানান তারা।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের আল নুর মসজিদে জুমার নামাজের সময় গোলাগুলির ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানিয়েছেন, দলের সদস্যরা সবাই নিরাপদে হোটেলে ফিরেছেন। গোলাগুলির ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
খালেদ মাসুদ জানান, ম্যাচের আগে শুক্রবার সকালে ওই মাঠে অনুশীলন করেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে তাদের কয়েকজন কাছের ওই মসজিদে গিয়েছিলেন জুমার নামাজ পড়তে। তবে কোনো বিপদ হয়নি। সবাই নিরাপদে ফিরে এসেছে।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হ্যাগলি পার্কের পাশে ডিনস এভিনিউয়ের ওই মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে এসেছিলেন কয়েকশ মুসলমান। মিলিটারি ধাঁচের ক্যামোফ্লাজড পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি অটোমেটিক রাইফেল হাতে ওই মসজিদে ঢুকে এবং প্রায় ২০ মিনিট ধরে গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেছেন।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, আল নুরে যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তার পরপরই মসজিদে পৌঁছেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তারা দ্রুত সেখান থেকে সরে যান।