পর্যটন আকর্ষণ আর সাঁতারে সুখ্যাতির কারণে হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার পরিচিতি বর্তমানে দেশজুড়ে। কিন্তু শিক্ষার সূচকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। বিশেষ করে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে চিত্রটি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। এর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিয়ে। বাল্যবিয়ের ভয়াবহ থাবায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক পড়ুয়া মেয়েরা ঝরে পড়ছে উচ্চশিক্ষার দুয়ারে পা রাখার আগেই। ফলে উপজেলাজুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। বাল্যবিয়ের এই ভয়াল থাবা থেকে মেয়েদের রক্ষা করা না গেলে এই উপজেলায় নারী শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার হারের আশানুরূপ অগ্রগতি খুবই দুরূহ ব্যাপার। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ হল রুমে ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ প্রকল্প’ আয়োজিত প্রেস কনফারেন্স সভায় স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিক, কৃষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই মতামত ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া সভায় নিকলী উপজেলার কৃষি ব্যবস্থাপনা ও সংকট, জলমহাল ব্যবস্থাপনা ও সংকট, নদীভাঙ্গন, স্বাস্থ্য ও যোগযোগ ব্যবস্থার দুর্দশা তারা তুলে ধরে এসব ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পপি-রিকল ২০২১ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. ফেরদৌস আলম। এতেছাতিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, সমাজকর্মী মো. ওমর ফারুক, নূরুল আমিন, আইন উদ্দিন, আইরিন আক্তার, আমেনা বেগম, আসাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকরা আলোচনায় অংশ নেন।
প্রেস কনফারেন্স সভায় জানানো হয়, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), পপি ও অক্সফামের অংশীদারিত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর আর্থিক সহায়তায় রিকল ২০২১ প্রকল্পের মাধ্যমে এসডিজি সম্পর্কিত সরকারি নীতি ও কার্যক্রম প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে বিপদাপন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সুশীল সংগঠন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠনসমূহকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে।