তিনদিকে বিল একদিকে খাল, মাঝখানে গোপালপুরের গ্রাম লক্ষ্মীপুর। বর্ষাকালে দ্বীপের মতো ভাসে। আর শুকনোয় মেঠো পথে খুঁড়িয়ে গ্রামবাসী চলাচল করেন। আর এখানে নির্মিত হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে স্কুলে যাওয়ার জন্য নেই কোনো রাস্তা। ফলে শিশুরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আর বর্ষায় শিক্ষার্থীরা খুব একটা না আসায় দুই মাস অঘোষিত ছুটি চলে স্কুলে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘স্কুলবিহীন গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৫০০ প্রকল্প’ এর আওতায় ২০১৩ সালে লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খন্দকার শহীদুল ইসলাম জানান, স্কুল ভবনটি ডগাবিলের কাছে একদম নিচু জমিতে হওয়ায় এবং সেখানে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে স্কুলের মাঠ কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।
বর্ষার পর মাঠ শুকালেও থাকে কর্দমাক্ত। খেতের আইল ধরে খালি পায়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি হয় তাদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী জানান, লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রবেশের যেমন রাস্তা নেই, তেমনি গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে ফাঁকা মাঠে অবস্থিত স্কুলে যেতেও কোনো রাস্তা নেই। বর্ষাকালে নৌকা বা ভেলায় করে স্কুলে আসা-যাওয়া করে গ্রামের শিশুরা।
এজন্য বছরের দুই মাস শিশুরা স্কুলে কম আসে। তখন অঘোষিত ছুটি চলে। গ্রামের প্রবীণ আব্দুল গনি জানান, গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুল করে দিয়েছে। এখন সরকারি রাস্তা করে দিলেই বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারত।
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রুমি এসবের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঐ বিদ্যালয়ে যাতায়াতে রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই সমস্যার সমাধান হবে।