একজন শিক্ষক শুধু একজন ব্যক্তি মানুষ নন, তিনি একটি দেশ গড়ার সুনিপুণ কারিগর। এই মহান শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোববার (৬ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, একজন শিক্ষক তার অকৃত্রিম পরিশ্রম দিয়ে একটি দেশকে জ্ঞানদীপ্ত করে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এই শিক্ষকের হাত ধরেই একটি শিশু অন্ধকার থেকে আলোর পথে হাঁটতে শেখে। জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে থাকে। কেবল একজন শিক্ষকই পারে ছাত্রকে আদর-সোহাগ ও শাসন দিয়ে তার জীবন আলোকিত করতে। সত্যিকার অর্থে শিক্ষকের আশীর্বাদই আমাদেরকে সফলতার দারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। একজন শিক্ষক শেখায় কীভাবে সততা, আন্তরিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করা যায়, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়, হওয়া যায় মানুষের বিপদ-আপদের সঙ্গী। শিক্ষাদানের এই মহান ব্রত সর্বদাই পালন করেন আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা। শিক্ষকদের উত্সাহ, অনুপ্রেরণা, দিকনির্দেশনা না পেলে আমরা শিক্ষার্থীরা যে কখনোই মানুষ হয়ে উঠতে পারতাম না। মহান শিক্ষকরা আছেন বলেই তো আমরা আজও স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি একদিন এই বিশ্ব জয় করারও। স্যারদের এই ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। সম্ভবও নয় কোনোদিন। শিক্ষকেরা তো জাতি গঠনের কারিগর। কেননা একজন শিক্ষক শুধু শিক্ষার্থীর মানবতাবোধকে জাগ্রত করে কেবল পাঠদানকে সার্থকই করে তোলেন না, বরং এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বর্তমানে মানুষ সব কিছুর জন্য অনেকাংশে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এক কথায় বলতে গেলে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া মানুষের চলেই না। এই তথ্যপ্রযুক্তি মানুষকে যতটা না মনে রাখে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মনে রাখে তার শিক্ষককে। একজন সফটওয়্যারার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেই শেষ কিন্তু একজন শিক্ষককে প্রতিনিয়তই তার কাজটি করে যেতে হয়। তিনি করেনও তাই। শিক্ষক তার উদারতা, দূরদৃষ্টি, সরলতা ও ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি ছাত্রের অন্তরে জায়গা করে নেন। শিক্ষক মানে আমার কাছে শিক্ষাবিদ, ক্ষমাশীল ও কর্মদক্ষ একজন ব্যক্তি।
আসুন, আমরা আমাদের সকল শিক্ষককে স্মরণ করি। স্মরণ করি স্যারদের সকল অবদানের কথা। একটি কথা আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, নিজেকে সমৃদ্ধ করা মানেই স্যারকে সম্মান করা। আর আমাদের মহান শিক্ষকরা মনেপ্রাণে এটাই চায়।
সায়মা সাদিয়া মুনা : শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।