প্রথম থেকে ত্রয়োদশ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি সম্মিলিত মেধা তালিকা প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। ৯০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে একটি সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা তৈরি ও প্রকাশের জন্য হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যে কোনও সময় তালিকা প্রকাশ হবে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ এম এম আজহার দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নিবন্ধন উত্তীর্ণদের সনদের কোনো মেয়াদ থাকবে না বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক তালিকা ও নিয়োগ পদ্ধতিও বাতিল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রার্থীদের একটি বয়সসীমা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
রায়ে দেওয়া সাত দফা নির্দেশনায় বলা হয়—১. নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদ দিতে হবে। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদ বহাল থাকবে। ২. রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উত্তীর্ণদের নিয়ে একটি জাতীয় মেধাতালিকা করতে হবে। এই তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ৩. একটি জাতীয় মেধাতালিকা করতে হবে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা তালিকা নামে কোনো তালিকা করা যাবে না। ৪. এনটিআরসিএ প্রতিবছর মেধাতালিকা হালনাগাদ করবে। ৫. সম্মিলিত মেধাতালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীর নামে সনদ জারি করতে হবে। ৬. নিয়োগের উদ্দেশ্যে এনটিআরসিএ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরাবর কোনো সুপারিশ করলে কপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটি বাতিল করবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড এবং ৭. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করতে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জানা যায়, ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করে আইন প্রণয়ন করে সরকার। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতা হিসেবে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ অর্জন বাধ্যতামূলক করা হয়। ওই বছরই প্রথম নিবন্ধন পরীক্ষা হয়। তবে, প্রথম থেকে দ্বাদশ নিবন্ধন পরীক্ষা ছিলো এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের।
অপরদিকে, ত্রয়োদশ নিবন্ধন পরীক্ষা হয় এন্ট্রি লেভেলে [সহকারী শিক্ষক, প্রভাষক, মৌলভী ইত্যাদি] নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ত্রয়োদশ থেকে পরবর্তী পরীক্ষাসমূহে উত্তীর্ণ হলে আর কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না প্রার্থীদের। শূন্যপদ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠানো হবে উত্তীর্ণদের এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেয়া নিয়োগপত্র নিয়ে যোগদান করতে হবে। ওই বিধান অনুযায়ী অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন।