বানারীপাড়ায় নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির। তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দের বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে সেটি নিম্নমানের হওয়ায় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
ওই কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ শ্রমিক নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে সদ্য নির্মিত গেটটি ভেঙে পড়ে রনি নামের এক শ্রমিক আহত হন। স্কুল ছুটির পূর্ব মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে যে কাজগুলো নিম্নমানের পাওয়া যাবে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ইট-পাথর ও রড-সিমেন্টের বর্তমান বাজার দরের পাশাপাশি ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ কাজ করতে পারছে না।
ফলে তারা লোকসান এড়াতে এবং কিছু লাভের আসায় নিম্নমানের কাজ করছেন বলে একাধিক ঠিকাদার জানান। তারা জানান, আগামী জুলাই থেকে রড, সিমেন্ট ও ইট-পাথরের দাম বাড়লে সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ কাজ করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকাঠী এলাকার ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সুমন ঘরামি ও ব্রাহ্মণকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলু হালদার জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক লাভের আশায় নিম্নমানের কাজ করছেন। তারা জানান, বিদ্যালয়ের মূল গেট নির্মাণে ১৬ মিলি রড দেয়ার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১২ মিলি রড এবং ১২টি রড দেয়ার স্থলে মাত্র ৪টি রড দেয়ার কারণে গেটটি ভেঙে পড়ে।