পুথি দিয়ে বানানো হচ্ছে হাতব্যাগ, ব্রেসলেট, বিভিন্ন ফল প্রভৃতি। প্রাথমিকভাবে হস্তশিল্পের এসব কাজ শুরু করেছেন বন্দীরা। আটজন বন্দি কয়েক মাস আগে থেকে একাজে সম্পৃক্ত হন। একেবারে বাণিজ্যিকভাবে শুরু না হলেও এখানে স্বল্প পরিসরে চলছে এসব তৈরির কাজ। কারাগারের ভিতর এসব পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শনীর জন্য খোলা হয়েছে একটি কেন্দ্র।
এদিকে নিরক্ষর বন্দিদের সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করতে এবং আরবি পড়াশোনায় আগ্রহীদের জন্য খোলা হয়েছে পৃথক দুটি শিক্ষা কেন্দ্র। অব্যবহৃত দুটি কক্ষ উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ এবং নিরক্ষর বন্দিদের পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া করা হচ্ছে একটি লাইব্রেরিও।
কারাগার সূত্র জানায়, জেলা কারাগার সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পড়ানো হয় আগ্রহী বন্দিদের। এদের মধ্যে ৪০ জন বাংলা এবং ৩০ জন আরবি শিখছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন শিক্ষক আরবি এবং বাংলার জন্য বন্দিদের মধ্য থেকে শিক্ষিত একজনকে দিয়ে পড়ানো হয়। কারুপণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত হয়েছেন অন্তত আটজন বন্দি। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং দুজন নারী রয়েছেন। তারা পুথি দিয়ে তৈরি করছেন ব্রেসলেট, ব্যাগ, আঙুর, আপেল প্রভৃতি।
জেলা কারাগারের সুপার মুশফিকুর রহিম জানান, ভিতরে অনেকে আছেন যারা স্বাক্ষর করতে পারেন না, তাদের নিরক্ষরমুক্ত করা এবং যারা পবিত্র কোরআন শরিফ পড়তে চান তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য রয়েছে প্রার্থনা স্থল। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, কারাগারে ইতোমধ্যে কারুপণ্য বিক্রির জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে যে কেউ কিনতে পারবেন যদিও স্বল্প আকারে।
তিনি বলেন, আমরা বন্দিদের উদ্বুদ্ধ করছি যাতে করে এ কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত হয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। এ ছাড়া জেলখানায় আসার পর মানুষ অনেক কিছু অনুভব করেন, সে ক্ষেত্রে নৈতিকতা শেখার জন্য শিক্ষাগুলো কাজে আসবে। কারণ জেলখানা তো সংশোধনাগার।