নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় প্রকাশ্যে শিক্ষক দম্পত্তি শহিদুল ইসলাম শাহীন ও শাহীনুর আক্তার। তাদের ওপর হামলা, মারধর ও ঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রভাষক শাহীনের বড় ভাই নুরুল ইসলাম মিলন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর বিকালে কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম শাহীনের লেকভিউ বাড়ীতে আব্দুর রহিম মুকুল বাহিনী ঘর দখলের চেষ্টা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় ওই রাতে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না।
তিনি বলেন, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে এ পর্যন্ত ছয় বার হত্যার জন্য প্রভাষক শাহীনের ওপর হামলা চালানো হয়। জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিক হামলা করে ব্যর্থ হয়ে বহুবার সালিশ বৈঠক করা হয়। আাব্দুর রহিম মুকুল ৫ অক্টোবর একদল সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় বাসার টিভি, ফ্রিজ, সিসি ক্যামেরা ও ঘরের মধ্যে থাকা অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং আলমিরা ভেঙ্গে বিভিন্ন চুক্তিপত্র, দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যায়। অতর্কিত হামলা থেকে ভাইকে বাচাতে গিয়ে বড় ভাই মিলন ও স্ত্রী শিক্ষিকা শাহীনুর আক্তারও হামলার শিকার হন। বর্তমানে শাহীন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন বারবার আক্রমন করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার স্ত্রী শাহিনুর দাবি করেন।
শাহীনুর আক্তার জানান, তিনি স্কুল কর্মরত রয়েছেন। এখন ওই চক্রের কারণে তিনিও স্কুলে যাওয়া নিরাপদ মনে করছেন না। তার গোটা পরিবার এখন রয়েছে চরম নিরাপত্তহীন। তারা জড়িত আসামি গ্রেফতারের দাবি জানান।