পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের নৃশংস বর্বরতার শিকার শিক্ষক শাহ আলমের পরিবারের সদস্যরা আতংকে দিন পার করছেন। নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষকের সন্তানরা এখন স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা। জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় শিক্ষক পিতার পায়ের গোড়ালীর কাটা দৃশ্য দেখে এখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিমি ও এইচএসসি পাস করা ছাত্রী শান্তা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। অপরিচিত মানুষ দেখলেই ভয় ও আতংকে ঘর থেকেও বের হচ্ছেন না তারা। সেই সাথে আবারও খুন জখমে অব্যাহত হুমকিতে এখন শিক্ষক শাহ আলম মাস্টারের গোটা পরিবারই চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক শাহ আলমের ভাই মেনাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শাহ আলমের পা কাটা মামলায় চার আসামী গ্রেফতার হলেও এখন পলাতক রয়েছে ১৭ আসামী। ৫৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শিক্ষক শাহ আলমকে অন্তত ২৫ টি মামলায় আসামী করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দাবি করা ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় জালিয়াতি করে শাহ আলমের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দলিল করে হঠাৎ মার্কেট নির্মাণ করে।
তিনি বলেন, এ জমি নিয় দুই বন্ধু শাহ আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান আইউবের মধ্যে বিরোধ ছিল। আর এ বিরোধ থেকে গত ২৫ আগস্ট শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করে পা কেটে দেয়। তার শিশু পুত্র আফ্রিদীকে পুকুরে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশিরা শিশুকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে জীবন বাঁচায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই ২১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ওই আসামীদের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়িতে হামলা, লুটপাট,ধর্ষণ, চাঁদাবাজীসহ অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। অথচ তারা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর বরিশাল শের ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহ আলম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সাথে লড়েছে। অপরদিকে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে তাঁর পরিবার।