নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা : সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু - দৈনিকশিক্ষা

নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা : সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি |

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে স্কুল কলেজ বন্ধ আছে। এ পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার হবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে সম্পৃক্ত রাখতে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আর পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরিচর্যার জন্য অ্যাসাইন্টমেন্ট দেয়া হবে। পরীক্ষা বা অন্য কোনভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করতে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ নির্দেশ উপেক্ষা করে বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীগ্রাম দোডাঙ্গী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান।

তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে অসন্তষ দেখা দিলে দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে  ‘শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নওগাঁর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোবারুল ইসলাম। মান্দার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ আলম অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোবারুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমি ঐ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি দৈনিক শিক্ষা ডটকমের মাধ্যমে জানতে পারি। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কালীগ্রাম দোডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নিচ্ছেন। সাথে সাথেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার স্কুলটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর থেকে স্কুলের ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে। তাই আগে থেকে রুটিন দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বর্তমানে ৭ম শ্রেণির পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আর ১৮ নভেম্বর থেকে নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষা নেয়া হবে বলে রুটি প্রকাশ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রামন রোধে এইচএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বন্ধ করেছে সরকার। কিন্তু এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা এক সাথে বসলে করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি থেকেই যায়। এমন অবস্থায় সন্তানের পড়া-শোনা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা বলে জানান তিনি। এদিকে, বার্ষিক পরীক্ষার নামে প্রতি শিক্ষার্থীর থেকে প্রতি বিষয়ে ফি বাবদ ২০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ শিক্ষকরা  ‘অ্যাসাইনমেন্টের নামে পরীক্ষা নিয়ে ফি বাবদ টাকা নিচ্ছেন। 

এ বিষয়ে কালীগ্রাম দোডাঙ্গী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছিলেন, ‘অ্যাসাইমেন্টের জন্য ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।’ তবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোন বক্তব্য দেননি।

সব পরীক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ করার পরেও কেনো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমি আপনাকে কেনো কৈফিয়ত দেবো? আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যান। তারা উত্তর দেবে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না ’ 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে। 

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042409896850586