ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) শেষ হলো। শেষ হলো না নির্বাচনের বিতর্ক, কলঙ্ক, আর প্রশ্ন। কলঙ্কময় নির্বাচনের পরিসমাপ্তি কবে হবে? সঠিক জবাব রাষ্ট্রের জনগণ প্রত্যাশা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ শুধু দেশের সন্তানের নয়, বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থী যার যার মতো ইচ্ছানুযায়ী এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
বিদ্যাপীঠের অতীত ঐতিহ্য বজায় রাখতে, উত্তরসূরিদের যথাযথ মর্যাদা দিতে, শিক্ষাঙ্গণকে পবিত্র রাখতে যা করণীয় এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনোত্তর উত্তেজনা এখনো বিরাজমান। সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা তারুণ্যের আগুন দেখেছি নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে। দ্রোহ দেখেছি কোটা আন্দোলনে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের অতি অবশ্যই বাস্তবকে উপলব্ধি করে চলতে হবে। পেশিশক্তি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী বা মানুষকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এর প্রমাণ উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের গণবিস্ফোরণ। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ী হওয়া নুর সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়েছেন নৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শোভন নুরকে বুকে টেনে আপন মনে করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং একসঙ্গে ক্যাম্পাসে সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের বার্তা।
বাগেরহাট।
সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ