দুর্নীতি ঠেকাতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) নির্বাচনী পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধে ৩টি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭শে ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: সবুজ আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষার খাতাসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনিটরিং করতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরের নির্দেশনায়।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী পরীক্ষায় সব বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরাই এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদেরও পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে। বিনিময়ে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বিষয়ের জন্য ৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। আবার এমন অভিযোগও রয়েছে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যারা নির্বাচনী পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকে ফেল করিয়ে দিচ্ছে। পরে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিটি বিষয়ের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এর আগে শিক্ষা খাতে এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ফেল বাণিজ্য বন্ধ করতে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৭ মার্চ একটি চিঠি দেয়া হয়। স্কুল ও কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় দুর্নীতি বন্ধ করতে দুদকের চিঠিতে উল্লিখিত দুটি সুপারিশ আমলে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।