ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল ও গর্ত। সেই সঙ্গে ঝরে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তারা। এতে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মতলব পৌরসভার ১৮৪ নম্বর দক্ষিণ বাইশপুর মালেক দেওয়ান-মনিরুজ্জামান সরকারি বিদ্যালয়টি ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এক তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কাজটি করেন মেসার্স নুরুল ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাঁচতলা ভিতবিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রথম তলা সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে থেকে চলছে পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে পাঁচজন শিক্ষক পাঠদান করে আসছেন।
সরেজমিনে গতকাল ৩০ জুলাই মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেয়াল, মেঝে ও ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। এ ছাড়া একটি কক্ষের মাঝে বড় আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেড়া দিয়ে এক পাশে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এ ছাড়া অফিস ও অন্য দুই কক্ষের মেঝে ফাটল রয়েছে। এতে অভিভাবকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। যে কোনো সময় ওই শ্রেণিকক্ষের মতোই বড় গর্ত সৃষ্টি হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও দাতা সদস্য মহসিন দেওয়ান বলেন, ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নজিরবিহীন। এখনই সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়টি লিখিত আকারে ছবিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ মনিরুজ্জামান (ভুলু হাজী) ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতোই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই বিদ্যালয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে। যার ফলে সাত বছর না যেতেই মেঝে ও দেওয়াল খসে পড়ছে পলেস্তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এই মুহূর্তে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। কাল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন নিতে এলে বিষয়টি জেনে নেব।