রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের প্রামাণিক পাড়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্রী জান্নাতী আখতারকে প্রকাশ্য দিবালোকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার তিন স্বজনকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহত অবস্থায় তাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ উল্টো আসামিদের গ্রেফতার না করে নির্যাতিতদের গ্রেফতার করার জন্য তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। ফলে নির্যাতিত পরিবারটি পুলিশি হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরে গত শুক্রবার।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, একই এলাকার রফিকুল ইসলাম আতিয়ার ও আরিফুল ইসলামদের সঙ্গে আবদুল মতিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে কাথা কাটাকাটির ঘটনায় রফিকুলের ইসলামের নেতৃত্বে দল বলসহ লাঠিসোটা, ছুরি নিয়ে আবদুল মতিনের বাসায় হামলা চালায় এ সময় মতিনের কলেজ পড়ুয়া কন্যা জান্নাতী আখতার বাধা দিলে তাকে চুলের মুঠি ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে রক্ষা করার জন্য মাসহ স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় আবদুল মতিন বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে যার নম্বর ১ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩৫৪/৩২৬/৫০৬ ধারা। এদিকে থানায় মামলা করার পর পুলিশ নির্যাতনকারী রফিকুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো নির্যাতনের শিকার আবদুল মতিনের পরিবারসহ স্বজনদের গ্রেফতার করায় পুলিশ দফায় দফায় তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। ফলে পুলিশের ভয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলীর সঙ্গে গতকাল বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করব কিন্তু যারা নির্যাতিত হলো পুলিশ তাদেরকেই গ্রেফতার করার অভিযান করছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা দেখছি।