নীলফামারীতে মেডিক্যাল কলেজ চালু হওয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে নীলফামারীবাসী। মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয়রা। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফেস্টুন হাতে মিলিত হয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়।
নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহরের নীলফামারী সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিভিন্ন সংগঠন ও জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা ব্যানার হাতে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মশফিকুল ইসলাম রিন্টু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক দিপক চক্রবর্তী প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনুমোদিত নীলফামারী মেডিকেল কলেজেটির নাম শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ নামকরণের প্রস্তাব করেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ।
সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ১ম বর্ষে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে সদর উপজেলার পলাশবাড়ীতে নবনির্মিত ডায়াবেটিক হাসপাতালে ক্লাস চালু হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে সদরের নটখানায় কুষ্ঠহাসপাতাল সংলগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগের ৫১.২৫ একর জমিতে ভবন নির্মাণ ও জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।