ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবারও বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আগের দিনও দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। পরে সাক্ষীদের জেরা করার সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল হাসান বলেন, পিবিআইর কাছে আসামি উম্মে সুলতানা পপির দেওয়া জবানবন্দি আদালতে টেম্পারিং (বিকৃত) করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সময় পিপি হাফেজ আহাম্মদও চড়া গলায় তার প্রতিবাদ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিচারক
পিপি ও আসামি পক্ষের আইনজীবীকে লক্ষ্য করে বলেন, 'আপনারা সিনিয়ার, আপনারা এমন করলে কষ্ট পাই।' পরে পরিস্থিতি শান্ত হয় ও দুই আইনজীবী হাত মেলান।
সকালে পুলিশ নুসরাত হত্যার ১৬ আসামিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করে। আদালতে প্রথমে সাক্ষ্য দেন ফজলুল করিম। তিনি আদালতে জানান, পিবিআই পপিকে তাদের গ্রামের বাড়িতে হাজির করলে তিনি নুসরাত হত্যার সময় ব্যবহূত বোরকা ও ওড়না দেখিয়ে দেন। পরে পুলিশ তা জব্দ করে। এদিন আদালতে একই সাক্ষ্য দিয়েছেন রাবেয়া আক্তার, মোয়াজ্জেম হোসেন ও জাফর ইকবাল। সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত আজ বুধবার আরও ছয়জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানান।
নুসরাত হত্যা মামলায় গতকাল পর্যন্ত ৪১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী মাসেই আলোচিত এ মামলার রায় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় একদল দুর্বৃত্ত নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পিবিআই মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়।