ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানালেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে চতুর্থ দিনের মতো নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, ‘সোমবার দুপুর ১২টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আকরামুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।’ তিনি বলেন, ‘মামলাটিতে ৮৭ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এ জঘন্য ঘটনায় ব্যবহৃত প্রায় সব আলামত আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং জমা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটেও নুসরাতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় এবং আদালতে তা একাধিকবার প্রদর্শনও করা হয়। আবার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের সঙ্গে তাঁর বন্ধু জীবন ও আরেক আসামি রুহুল আমিনের টেলিফোন কনভারসেশনে এ হত্যাকাণ্ডে তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে।’ রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে দাবি করে তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
একই সঙ্গে আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ, এপিপি এ কে এস ফরিদ আহাম্মদ হাজারী, বাদীর আইনজীবী এম শাহজাহান সাজুসহ তাঁদের সহযোগীরা আকরামুজ্জামানের যুক্তির সঙ্গে একমত হয়ে তাঁরাও আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
বিচারক আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম মুলতবি রাখেন। সোমবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে মাঝে ৪০ মিনিটের মধ্যাহ্ন বিরতি বাদ দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে। এই দিন মামলার ১৫ জন আসামি হাজির ছিলেন।